সক্রেটিস ছিলেন এক জন মহান দার্শনিক ছিলেন। তার জন্ম হয়েছিল খ্রীস্টপূর্ব ৪৬৯ সনে গ্রীসের এথেন্সে। তার দার্শনিক আদর্শ ও মূল্যবোধ দুই হাজারের ও বেশী সময় ধরে পাশ্চাত্য সভ্যতা, দর্শন ও সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছে। সক্রেটিসের জীবন ও দর্শন সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়না। তার জীবন ও দর্শন সম্পর্কে তিনটি উৎস উল্লেখযোগ্য, প্লেটোর ডায়ালোগ, এরিস্টোফেনিসের নাটক ও
জেনোফোনের ডায়ালগ। সক্রেটিস নিজে কিছু লিখেছেন এরকম কোনো প্রমান পাওয়া যায়না।
প্লেটোর বর্ননা থেকে জানা যায় সক্রেটিসের বাবার নাম সফ্রোনিস্কাস,আর তিনি একজন স্হপতি ছিলেন। তার মায়ের নাম ফিনারিটি, তিনি একজন ধাত্রী ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম জ্যানথিপ।
তার সংসারে খুব অভাব অনটন। সংসারের অভাব অনটন ভুলতে তিনি বেশীরভাগ সময় দার্শনিক আলোচনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। সক্রেটিস তার দর্শন প্রচারের জন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেননি। হাটবাজার , রাস্তাঘাট যেকোনো জায়গায় তিনি সব বয়সের মানুষের সাথে বিনামূল্যে দার্শনিক আলোচনা করতেন। সুফিদের মতো অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা করা তিনি ঘৃনা করতেন। তিনি বলতেন, আমি জ্ঞানী নই, জ্ঞানুসারী মাত্র। "একটি জিনিসই আমি শুধু জানি এইযে, আমি কিছুই জানিনা"। সক্রেটিস দ্বান্দিক পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষা করতেন।
এতে প্রতিপক্ষ স্বীকার করে, পরে তা যৌক্তিক উপায়ে খন্ডন করা। বিরূদ্ধ পক্ষের জন্য তিনি তর্কের ফাদ পাততেন এবং প্রতিদন্দ্বী পরাজিত হয়ে যতক্ষন ভূল স্বীকার করে, ততক্ষন তিনি অনবরত প্রশ্ন করে, প্রতিদন্দ্বীর মুখ থেকে সত্য বের করে নিতেন। তিনি বিশ্বজগতের নিগুঢ় রহস্য অালোচনা করার চেয়ে, জীবনও সমাজের বাস্তব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী বেশী ছিলেন।
মানুষের মহত্বও শ্রেষ্ঠত্ব কিসে নিহিত? , সৃষ্ঠির সেরা জীব হিসেবে মানুষের আচরন কেমন হওয়া উচিত? এসব জীবনধর্মী প্রশ্নের উত্তরসন্ধান করাই তার চিন্তা ছিল। তারমতে জ্ঞান ও প্রজ্ঞাই হল মানুষের সদাচারনের ভিত্তি। তারমতে সত্যিকারের জ্ঞানী ব্যক্তি কখনও অন্যায় করতে পারেনা।
তিনি বিশ্বাস করতেন, আত্মার যত্ন নেয়া, আত্মাকে সৎও শুভ কাজে পরিচালনা করা।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে, আত্মা অমর। তিনি বিশ্বাস করতেন শিক্ষার মাধ্যমেই মানুষের জ্ঞানের বিকাপারে।
। আর জ্ঞানের মাধ্যমেই মানুষ সত্যকে চিনতে পারে।
মৃত্যু- সত্যের প্রতি অবিচল সক্রেটিসকে তৎকালিন শাসকগোষ্ঠী তথাকথিত অভিযোগে হেমলক বিষপানে খ্রীস্টপূর্ব ৩৯৯ সনে মৃত্যুদন্ড দেয়।
জেনোফোনের ডায়ালগ। সক্রেটিস নিজে কিছু লিখেছেন এরকম কোনো প্রমান পাওয়া যায়না।
সক্রেটিস |
তার সংসারে খুব অভাব অনটন। সংসারের অভাব অনটন ভুলতে তিনি বেশীরভাগ সময় দার্শনিক আলোচনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। সক্রেটিস তার দর্শন প্রচারের জন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেননি। হাটবাজার , রাস্তাঘাট যেকোনো জায়গায় তিনি সব বয়সের মানুষের সাথে বিনামূল্যে দার্শনিক আলোচনা করতেন। সুফিদের মতো অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা করা তিনি ঘৃনা করতেন। তিনি বলতেন, আমি জ্ঞানী নই, জ্ঞানুসারী মাত্র। "একটি জিনিসই আমি শুধু জানি এইযে, আমি কিছুই জানিনা"। সক্রেটিস দ্বান্দিক পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষা করতেন।
এতে প্রতিপক্ষ স্বীকার করে, পরে তা যৌক্তিক উপায়ে খন্ডন করা। বিরূদ্ধ পক্ষের জন্য তিনি তর্কের ফাদ পাততেন এবং প্রতিদন্দ্বী পরাজিত হয়ে যতক্ষন ভূল স্বীকার করে, ততক্ষন তিনি অনবরত প্রশ্ন করে, প্রতিদন্দ্বীর মুখ থেকে সত্য বের করে নিতেন। তিনি বিশ্বজগতের নিগুঢ় রহস্য অালোচনা করার চেয়ে, জীবনও সমাজের বাস্তব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী বেশী ছিলেন।
মানুষের মহত্বও শ্রেষ্ঠত্ব কিসে নিহিত? , সৃষ্ঠির সেরা জীব হিসেবে মানুষের আচরন কেমন হওয়া উচিত? এসব জীবনধর্মী প্রশ্নের উত্তরসন্ধান করাই তার চিন্তা ছিল। তারমতে জ্ঞান ও প্রজ্ঞাই হল মানুষের সদাচারনের ভিত্তি। তারমতে সত্যিকারের জ্ঞানী ব্যক্তি কখনও অন্যায় করতে পারেনা।
তিনি বিশ্বাস করতেন, আত্মার যত্ন নেয়া, আত্মাকে সৎও শুভ কাজে পরিচালনা করা।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে, আত্মা অমর। তিনি বিশ্বাস করতেন শিক্ষার মাধ্যমেই মানুষের জ্ঞানের বিকাপারে।
। আর জ্ঞানের মাধ্যমেই মানুষ সত্যকে চিনতে পারে।
মৃত্যু- সত্যের প্রতি অবিচল সক্রেটিসকে তৎকালিন শাসকগোষ্ঠী তথাকথিত অভিযোগে হেমলক বিষপানে খ্রীস্টপূর্ব ৩৯৯ সনে মৃত্যুদন্ড দেয়।
No comments:
Post a Comment