Thursday, August 31, 2017

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে গয়না তৈরী করুন

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হার, দুল, ব্রেসলেট ইত্যাদি তৈরী করতে পারেন। যেমন তার দিয়ে হার, কয়েন দিয়ে দুল, কাগজের দুল, জিনস দিয়ে ব্রেসলেট, বোতাম দিয়ে নেক পিস, লুডোর ছক্কা দিয়ে দুল,চাবি দিয়ে হার, সিডি দিয়ে জুতা ইত্যাদি। সার্কিটের মোটা তারকে রং করে হাতের আংগুলের মধ্য পেচিয়ে গোল করেএকটির মধ্যে আরেকটি ঢুকিয়ে তৈরী করুন ট্রেন্ডি হার। পুরানো কয়েন থাকলে তৈরী করতে পারেন দুল। কয়েনের মাথায় ছিদ্র করে পুরানো দুলের পুতির সাথে লাগিয়ে দিতে পারেন।
কাগজের দুল- পাতলা পিজবোর্ডেলাগিয়ে পছন্দমত কাগজ আঠা লাগিয়ে মুড়ে দিন।
এরপর এটিকে ফলের মত আকৃতিতে সেলাই করে নিতে হবে।এরপর পুরনো কানের দুলের উপরের অংশের সাথে লাগিয়ে নিন।আর তৈরী হয়ে গেল কানের দুল।
ফেলে দেয়া জিনিস দিয়ে তৈরী গহনা
ব্রেস্টলেট তৈরী-  পুরনো জিনসকে হাতের মাপমতো কেটে টুকরো করে নেন এবং এতে পুতি বা স্টোন বসিয়ে সেলাই করে নিন। এবার টুকরাগুলির একপ্রান্তে একটি বোতাম ও আরেক প্রান্তে একটি বোতামঘর বানিয়ে নিন। আপনার তৈরী হয়েগেল ব্রেসলেট। নেকপিস তৈরী- পুরানো বোতাম নিন এবং একটা চেনের মধ্যে গেথে দিন, আর তৈরী হয়ে গেল আপনার নেকপিস |
লুডোর ছক্কা দিয়ে দুল- লুডোর ছক্কার উপর একটা স্টিক আঠা  দিয়ে লাগিয়ে নিন|আপনার কানের দুল তৈরী হয়ে গেল।
চাবি দিয়ে হার-  পুরানো চাবিকে আপনার পুরানো হারের লকেটের সাথে জুড়ে দিলেই আপনার নেকপিস তৈরী। পুরানো ফেলে দেওয়া অনেক জিনিস দিয়ে আমরা এরকম অনেক কিছুৈ তৈরি করতে পারি। 

Tuesday, August 29, 2017

লাল রং তৈরির ইতিহাস

মেহেদি গাছ
লাল রং দীর্ঘ তরঙ্গ দৈর্ঘ বিশিষ্ঠ একটা রঙ। অতি প্রাচীনকাল থেকেই লাল রঙের ব্যবহার হয়।
দক্ষিন আফরিকার একটা গুহা থেকে প্রত্নতাত্তিক শিলা দেখে প্রমানিত হয়যে, ১,৭০০০০ থেকে ৪০,০০০ বছর আগে মানুষলাল রংয়ের কাদার সাথে আয়রন অক্সাইড মিশিয়ে তাদের শরীরে রং
করতো।আর এরকম ব্যবহার হতো আধুনিক প্রস্তর যুগে। চীনের বেইজিংয়ের ঝুকুদিয়ান গুহায় লাল হেমাটিট পাউডারের গুড়ার ব্যবহারের প্রমান পাওয়া যায়, যা ৭০,০০০ বছর আগের।
লাল, কালো এবং সাদা রং ছিল অতীতের প্রথমদিকের ব্যবহার করা
লাল রং
রং। মাদ্দার নামক একধরনের গাছের মূল থেকে লাল রং তৈরী করা হছিল।  প্রাচীন মিশরীয়দের সাথে লাল রং ঐতিহ্য হিসেবে ছিল। প্রাচীন মিশরীয় রমনীরা লাল অকরি তাদের চিবুক ও ঠোট রাঙাতে রূপসজ্জায় ব্যবহার করতো। তারা চুল ও নখ রাঙাতে মেহেদি ব্যবহার করতো। প্রাচীন মিশরীয়রা রুবিয়া গাছের শিকড় দিয়ে রং তৈরী করতো যা পরবর্তীতে আলিজেরিন নামে পরিচিতি পায়।
লাল লেড প্রাচীন পারসিয়ান ও ভারতে চিত্র আঁকতে ব্যবহৃত হতো। প্রাচীন মহেন্জদারো সভ্যতায় তার প্রমান পাওয়া যায়। আজকাল এশিয়ার অনেক দেশে বিয়ের পোষাক লাল রংয়ের হওয়া
একটা ঐতিহ্য।
রুবিয়া টিংটরাম গাছের মূল


Friday, August 11, 2017

আলুটিলার রহস্যগুহা

বাংলাদেশের খাখাগরাছড়ি জেলার মাটিরাংগা উপজেলায় আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে একটা রহস্যময় গুহা আছে। এটা খাগরাছড়ি হতে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে মাটিারাংগা উপজেলায় অবস্হিত।
স্হানিয় লোকজন একে হাকড় বা দেবতার গুহা বলে। তবে এটি আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে অবস্হিত বলে এটা আলুটিলা গুহা নামেই পরিচিত।এখানে একটা সুন্দর পিকনিক স্পট আছে।এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন ছুয়ে যায়। আলুটিলা খাগড়াছড়ি জেলার সবচেয়ে উচু পর্বত। টিলা নাম হলেও এটি আসলে পর্বত। এখান থেকে খাগরাছড়ি শহরের অনেকটা দেখা যায়। এখানের সবুজ প্রকৃতি, পাহাড়, আকাশ আর মেঘের মিতালি এক মনোরোম আবেশ তৈরী করে মনে। ঐতিহাসিকভাবে জানা যায় আগে এই পাহাড়ের নাম ছিল আরবারী পর্বত। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর এখানে খাদ্যাভাব দেখা দিলে এ পাহাড় থেকে আলু সংগ্রহ করে মানুষ জীবন ধারন করে, সেই থেকে এর নাম আলুটিলা হিসেবে পরিচিতি পায়।
আলুটিলার রহস্য গুহা
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ- আলুটিলা রহস্যগুহায় যেতে হলে পর্যটন কেন্দ্রে নির্ধারিত টিকেট করতে হয়। প্রবেশের পরেই দুটি বিশাল বটবৃক্ষ চোখে পড়বে। এরপর ডান ও বাম দিকে দুটো রাস্তা গেছে।বাম দিকের রাস্তা দিয়ে রহস্য গুহায় যেতে হয়। ডানদিক দিয়ে যে পথ গেছে , সেদিক দিয়ে সামনে এগুলে চোখে পড়বে একটা পাহাড়ী ছোটো পথ। এপথটি নিচের দিকে নেমে গেছে।
এপথ ধরে নিচে নামলেই চোখে পড়বে একটা ছোটো পাহাড়ী ঝর্না। বামদিক দিয়ে সামনে এগুলেই রহস্যগুহার দেখা মিলবে। গুহার মুখেই দর্শনার্থীর জন্য বিশ্রামাগার রয়েছে।
গুহায় ঢোকার আগে অবশ্যই মশাল সংগ্রহ করতে হবে।

আলুটিলার রহস্য গুহা


আলুটিলার ঝর্না