Monday, October 30, 2017

তাজহাট জমিদার বাড়ি

তাজহাট জমিদার বাড়িটি রংপুর জেলার অদূরে তাজহাট নামক স্হানে অবস্হিত।
এটি একটা ঐতিহাসিক প্রাসাদ যা বর্তমানে যাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি রংপুর শহর থেকে দক্ষিনপূর্ব দিকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্হিত।  পর্যটকদের কাছে এটি একটা আকর্ষনিয় স্হান।
  তাজহাট জমিদার বাড়ি

ইতিহাস- বিংশ শতাব্দির শুরুর দিকে বাড়িটি মহারাজা কুমার গোপাল লাল রায় নির্মান করেন।
তিনি ছিলেন হিন্দু ও পেশায় ছিলেন একজন স্বর্নকার। মহারাজা গোপাল রায়ের মনোরোম মুকুটের জন্য এলাকাটি তাজহাট নামে পরিচিতি লাভ করে আসছে। মহারাজা গোপাল রায়ের মনোরোম মুকুটের জন্য এলাকাটি তাজহাট নামে পরিচিতি লাভ করে আসছে। ভবনটি ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত রংপুর হাইকোর্ট বাংলাদেশ সুপ্রীম একটা শাখা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৫ সালে ভবনটিকে প্রত্নতাত্তিক স্হাপনা হিসেবে ঘোষনা করে।
  তাজহাট জমিদার বাড়ির ভিতরের অংশ
    ২০০৫  সালে বাংলাদেশ সরকার এই স্হাপনার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুভব করে   রংপুর যাদুঘরটি এই ভবনের দোতালায় নিয়ে আসে।   এই বাড়ির সিড়িগুলো মার্বেল পাথরের তৈরী।
যাদুঘরে রয়েছে বেশ কয়েকটা প্রদর্শনী কক্ষ এবং এতে রয়েছে দশম ও একাদশ শতাব্দির টেরাকোটা শিল্প কর্ম।  এখানে আরো রয়েছে সংস্কৃতি ও আরবী ভাষায় লেখা বেশকিছু পান্ডুলিপি।
এছাড়া আরো রয়েছে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলের কোরান শরীফ, মহাভারত ও রামায়ন।
এর পেছনের ঘরে রয়েছে কালো পাথরের তৈরী হিন্দু দেবতা বিষ্নুদেবের মূর্তি।


  তাজহাট জমিদার বাড়ির ভিতরের অংশ
এই ভবনের  সামনে রয়েছে বিরাট মাঠ ও দুপাশে দুটি পুকুর। প্রাসাদটির প্রসস্তা প্রায় ২১০ ফুট  ও চারতলা ভবনের সমান উচু। এর গঠন প্রাচীন মুঘল স্হাপনার অনুকরনে গঠিত।
এর মাঝখানে একটা গম্বুজ রয়েছে।
এতে সর্বমোট ৩১টি সিড়ি রয়েছে এবং এর সিড়ি ও মেঝে মার্বেল পাথরে তৈরি।
রাজবাড়ির পেছন দিকে একটা গুপ্ত সিড়ি রয়েছে। এটার সঙ্গে গুগট নদীর একটা সংযোগ আছে।
এটার সঙ্গে গুগট নদীর একটা সংযোগ আছে। এটি পরে নিরাপত্তাজনিত কারনে বন্ধ করে দেয়া হয়।

No comments:

Post a Comment